Monday, August 27, 2007

অভ্যন্তরীন পূর্ণ প্রতিফলন


এই যে ছবিটা, কত সাধারণ। তবু কত অসাধারণ। এটা আমি তুলেছি, হালিসহরে। হালিসহরে আমার বড় হওয়া । একদিন কোনও এক অকাজে বেরিয়েছিলাম, পথে হঠাৎ খুব জোর বৃষ্টি এল। ছাতার থেকে মাথা ছিল বেশি, তাই ভিজতে হ্ল। আমার চোখ সবসময় সুন্দর জিনিস খোঁজে। এই কচু পাতাটা আমার চোখে পরে গেল। অল্প হাওয়াতে বৃষ্টির জল আর কচু পাতার পুরো সিস্টেমটা বেশ অস্থিরতার (unstability-র) মধ্যে ছিল। আমি কিছুক্ষন মন দিয়ে দেখলাম, তার পর আমার মোবাইল ক্যামেরাটিতে মুহুর্ত টাকে স্মরনীয় করে রাখার চেষ্টা করলাম।
আমরা জানি কচু পাতায় বা পদ্ম পাতায় কেন জল পরলে চকচক করে। পাতার সূক্ষ রোঁয়া, জলের সারফেস টেনসন, অভ্যন্তরীন পূর্ণ প্রতিফলন, (আমি বাংলা মিডিয়ামে পড়েছি) এই সবই আমরা জানি। তবু কেন জানি এই সমস্ত বিজ্ঞানকে পিছনে রেখে আমরা পুরো জিনিসটার মধ্যে শুধুই সৌন্দর্য্য দেখতে পাই। বিজ্ঞান বাস্তব, কিন্তু যে সৌন্দর্য্য দেখতে পায় তার কাছে, বিজ্ঞানের চেয়ে সৌন্দর্য্য আর কাছের বাস্তব। একে বারে মনের কাছের বাস্তব। বিজ্ঞানটা শেখা, সৌন্দর্য্যবোধটা নিজের মনের মধ্যে অঙ্কুরিত হওয়া।

Tuesday, August 21, 2007

মনে হল, তাই লিখি

একুশে আগষ্ট, দু হাজার সাত। আজ থেকে আমার নতুন ব্লগ শুরু করলাম।
ছোট বেলায় ডায়রী লিখতাম। লেখা কমতে কমতে একটা ডায়রী আধখানা ফাকা পরে রইল। ধরা যেতে পারে এটা আমার ডায়রী, তবে দিনলিপি নয়। যখন পড়াশোনা শেষ হতে না হতে চাকরি নিয়ে রাচীঁ চলে গেলাম তখন চিঠি লিখতাম, পাতার পর পাতা। একটা চিঠি আমি কখনও এক বারে লিখতামনা। যখন যা মনে হত তাই লিখতাম। তার পর চাকরী পালটে কলকাতায়। চিঠি লেখার গল্প শেষ হল। তবু আমার মনে হত কিছু লিখি। বানিয়ে বানিয়ে গল্প লিখতে পারিনা। কবিতার লেখার মত ততটা কবি কবি ভাব আমার সহজে আসেনা। তত দিন অপেক্ষা করতেও ভাল লাগেনা। তাই গদ্যতেই শুরু করে দিলাম। এই লেখা গুলো আমার কবিতা না হয়ে ওঠা ভাবনা। আমার চার পাশে রোজকার ছোট ছোট যে সব বাস্তব নাটক, কবিতা, গল্প মনে দাগ কাটে কিংবা শুধু একটু আচড় কেটে যায় সেগুলিই হবে আমার লেখার বিষয়।